প্রথম দিন – আজকে বলব কিভাবে পরী দিলাম ইংগ্লিশ চ্যানেল
আমাদের এক বান্ধবী ইতালির লেক কোমো তে বিয়ে করছে। প্রায় 6 মাস আগে থেকেই ইন্বিতাটিয়ন চলে এসেছিল এবং আমরা কনফার্ম করেছিলাম যে আমরা ইটালী পৌছে যাব। আমরা বলতে আমি, আমার স্ত্রী এবং আমাদের দু বছরের ছেলে। আমরা থাকি ইংল্যান্ড এর একটা ছোট্ট টাউন এ।লোক ডাউনের দৌলতে ইউরোপ যেতে পারিনি প্রায় 3 বছর। কিন্তু এইবার ডিসাইড করলাম ড্রাইভ করে ইটালী যাব। সেই মত ছুটি নিয়ে নেওয়া হল অফিস থেকে। প্রায় 3 মাস আগে অ্যাপ্লাই করা হল ফ্রাণ্স ভিসা। ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে দেরি হল কিন্তু ভিসা এসে গেল ট্রিপ শুরু হওয়ার ঠিক 2 দিন আগে।
কিছুদিন বেশি ছুটি নিয়ে আমরা সুইজারল্যান্ড, ইটালী এবং ফ্রাণ্স ঘুরবো ডিসাইড করলাম। টোটাল 10 দিনের একটা প্লান হল।টোটাল 3500 কিলোমিটার। যেহেতু ছোট বাচ্চা নিয়ে যাচ্ছি তাই রেস্ট ও দরকার, এবং জগ ঘুরে দেখার জন্য সময় ও দরকার। আগেকার মত ওই তাড়াহুড়ো করে ঘুরতে র ভাল লাগে না।
ইংল্যান্ড
এবং এউরোপের বাকি দেশের মধ্যে গাড়ি চালানোর কিছু বেসিক পার্থক্য আছে। সোব থেকে বড় পার্থক্য
হল কোন দিকে গাড়ি চলছি। ইংল্যান্ড ঠিক ইন্ডিয়া র মত। কিন্তু ফ্রাণ্স, সুইজারল্যান্ড রাস্তার দান দিক থেকে গাড়ি চালানো হয়। তাই ইংল্যান্ড
র গাড়ি ইউরোপ নিয়ে যেতে লাগে কিছু বিশেষ জিনিস – যেমন 1)একটা UK স্টিকার 2)হেড লাইট বেম কনভার্টের 3)এক্স্ট্রা বাল্ব 4)ফার্স্ট
আইড কিট
সঙ্গে রাখতে হয় সব ডকুমেনট্স – 1)গাড়ির ইনসিওরেন্স,ট্যাক্স, ব্রেকডাউন কভার 2) সব যাত্রীর পাসপোর্ট, ভিসা, ইনসিওরেন্স।
পক্কিংগ
শেষ করলাম সেদিন সকালে। ছবি দিলাম নিচে একটা। ধরতে হবে ইউরো টুননেল। অনেক রকম ভাবে
ইংগ্লিশ চ্যানেল ক্রস করা যায়, আমরা জছি ইউরো টানেল
দিয়ে। জীবনে প্রথম বার ইউরো টানেল দিয়ে জছিলাম, অনেক ইউটিউব ভিডিও দেখেছি
বায়াপরটা বোঝার জন্য। আগে থেকেই টিকেট কত ছিল। সাউথ ইংল্যান্ড র ডভের বলে একটা শহর
থেকে ইউরো টানেল ধরতে হয়। এক শুক্রবার বিকাল 3 টের সময় বেরিয়ে পড়লাম। স্ত্রী
গরিতেই কিছুখন অফিসের কাজ সেরে ফেলল। ছেলে গাড়িতে উঠতে না উঠতেই ঘুমিয়ে পড়ল।
যখন ডভের পৌছালাম প্রথমে আমাদের পাসপোর্ট এবং ভিসা চেক করল বড়দের সিকিউরিটি ফোর্স। তারপর ইমিগ্রেশন হল পর পর 2 বার – ইংল্যান্ড অণ্ড ফ্রাণ্স বড়দের কনট্রোল দিয়ে। তারপর ট্রেন ধরার জন্য ওয়েট। আমাদের গাড়িটা যেহেতু একটু উচু তাই আমাকে যেতে বলা হল হাই ভেহিকলে এরিয়া তে। সেখানে আমার সাথে লাইন এ দরিয়েছিল বড় বড় বাস, ট্রাক ইত্যাদি। একটা সময় সিগনাল পেলাম ট্রেন এ গাড়ি নিয়ে ওঠার জন্য। একটা ভিডিও নিচে দিলাম, বুঝতে পারবেন ব্যাপারটা ভাল করে। বিশাল বড় একটা মালগাড়ি র মত। ভিতর টা পুরো ফাকা, গরিগুলো সব ঢুকে যায়। গাড়ি নিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলাম, একটু চালানোর পর দার করতে বলল, ইঞ্জিন বন্ধ করে দিতে বলল। শুরু হল যাত্রা। ঠিক 35 মিনিট পর পৌছে গেলাম ফ্রাণ্স। বুঝতেও পারলাম না কিছু। বাইরে কিছু দেখা যায় না। প্রচন্দ গতিতে ট্রেন টি ছোটে। মাঝে মাঝে কান টা বন্ধ হয়ে যাচিল বটে, কিন্তু সামান্য। সেদিন ফ্রাণ্স পৌছে আমরা একটা ব্রেক নিয়েছিলাম রাত 1 টায়। প্রায় 550 km গাড়ি চললাম সেদিন। রাত এ ঘুম দরকার, পরের দিন যেতে হবে সুইজারল্যান্ড.
Nice description
ReplyDelete