সকাল সকাল বেরিয়ে পরলাম সেদিন ব্রেকফাস্ট করে।পাহাড় দেখার জন্য মনটা আকুল হয়ে উঠেছিল। ফ্রাণ্স যদিও প্রচণ্ড সুন্দর। হাইওয়ে দিয়ে যেতে যেতে একটার পর একটা রেপশীদ খেত পেরিয়ে যছিলাম। রেপশীদ খেত দেখতে একদম সর্ষে ক্ষেতের মতো, পার্থক্য করতে পারবেন না। মাইলের পর মাইল শুধু হলুদ চাদর দেখা যাচিল। হাইওয়ের রাস্তা একদম মাখনের মত। ইংল্যান্ডএর থেকে অনেকটা ভালো। কারন হবে হইত এখনকার টোল ট্যাক্স। পড়ে হিসাব করেছিলাম ফ্রাণ্সএ আমরা প্রায় 200 পাউন্ড টোল ট্যাক্স দিয়েছি। লাঞ্চ করলাম একটা সার্ভিস এ দাড়িয়ে। ভাগ্যক্রমে পেয়ে গেলাম KFC। যদিও সেই KFC আমাদের দেশের KFC র থেকে অনেকটা আলাদা টৈস্ট। গাড়িতে ডীজেল ভরে বেরিয়ে পরলাম সুইজারল্যান্ড বর্ডার র দিকে। একটা কথা বলে রাখী এখানে পেট্রোল পাম্প আ পেট্রোল বা ডীজেল নিজেদের ভরতে হয়। প্রত্যেক মাছিনের একটা করে নাম্বার থাকে। তেল ভরা হয়ে গেলে কাউন্টার আ গিয়ে পে করে আস্তে হয়।সুইজারল্যান্ড বর্ডার আসার ঘণ্টা খানেক আগে থেকেই আল্পস পাহাড় দেখা যায়। সে এক অপরূপ দৃশ্য। আমার মনে আছে প্রত্যেক বার শিলিগুড়ি থেকে সেবকের দিকে এগোতে প্রথম বার যখন পাহাড় দেখা যায় মনটা ভাল হয়ে যায়। এবারেও তাই হল। বর
প্রথম দিন – আজকে বলব কিভাবে পরী দিলাম ইংগ্লিশ চ্যানেল আমাদের এক বান্ধবী ইতালির লেক কোমো তে বিয়ে করছে। প্রায় 6 মাস আগে থেকেই ইন্বিতাটিয়ন চলে এসেছিল এবং আমরা কনফার্ম করেছিলাম যে আমরা ইটালী পৌছে যাব। আমরা বলতে আমি , আমার স্ত্রী এবং আমাদের দু বছরের ছেলে। আমরা থাকি ইংল্যান্ড এর একটা ছোট্ট টাউন এ।লোক ডাউনের দৌলতে ইউরোপ যেতে পারিনি প্রায় 3 বছর । কিন্তু এইবার ডিসাইড করলাম ড্রাইভ করে ইটালী যাব। সেই মত ছুটি নিয়ে নেওয়া হল অফিস থেকে। প্রায় 3 মাস আগে অ্যাপ্লাই করা হল ফ্রাণ্স ভিসা। ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে দেরি হল কিন্তু ভিসা এসে গেল ট্রিপ শুরু হওয়ার ঠিক 2 দিন আগে। কিছুদিন বেশি ছুটি নিয়ে আমরা সুইজারল্যান্ড , ইটালী এবং ফ্রাণ্স ঘুরবো ডিসাইড করলাম। টোটাল 10 দিনের একটা প্লান হল।টোটাল 3500 কিলোমিটার। যেহেতু ছোট বাচ্চা নিয়ে যাচ্ছি তাই রেস্ট ও দরকার , এবং জগ ঘুরে দেখার জন্য সময় ও দরকার। আগেকার মত ওই তাড়াহুড়ো করে ঘুরতে র ভাল লাগে না। ইংল্যান্ড এবং এউরোপের বাকি দেশের মধ্যে গাড়ি চালানোর কিছু বেসিক পার্থক্য আছে। সোব থেকে বড় পার্থক্য হল কোন দিকে গাড়ি চলছি। ইংল্যান্ড ঠিক ইন্ডিয়া র মত। কিন্তু ফ্রাণ্স ,